স্বাস্থ্য

অনিয়মের কথা বলায় অশ্লীল আচরণ করলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক

অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও বাজে অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগে উঠেছে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলে বলেন- এইসব অনিয়ম আপনার দেখা উচিত। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক উত্তেজিত হয়ে গালি দেন এবং চেয়ার থেকে উঠে প্যান্টের চেইন খোলার চেষ্টা করেন। এ সময় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক তাকে থামিয়ে দেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অশালীন আচরণ করার কথা স্বীকার করে তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তারা আগের দিন আমাদের অপমান করেছিল সে ভিডিও তো দেয় নাই। প্রথমে আমার রুমে এসে খাবার নিয়ে কথা বলে। পরে তারা আরএমও‘র রুমে যায়। তাকে ডেকে গালাগালিও করে। এরপর এসে আমার অফিসে তালা দেয়।

সার্জারি ডাক্তার রায়হান সাহেব বলেন, তালা দিলেন কেন আমরা চোর না ডাকাত। তারা বলে, আপনারা টেন্ডার দেন বিভিন্ন শর্ত দেন। অভিজ্ঞতার শর্ত তুলে দিতে হবে। আমরা বললাম আইনের বাইরে কিছু করতে পারবো না। আড়াই ঘণ্টা ধরে তারা এগুলো করলো।

পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর মেজর সাহেব এসে বলেন, আপনাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এটা ঠিক করে নাই। ওদের ডেকে মীমাংসা করে দিচ্ছি। তিনি চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা দুই দফায় এসে আবারও এ ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলি এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি অফিস থেকে ইতোমধ্যে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকালও শিক্ষার্থীরা এসে রোগীদের খাবারসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে বলেন ও তাদের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়। এরপর তারা আজকে এসে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং হাসপাতাল পরিষ্কার করতে চায়। আমরাও তাতে সম্মতি জানাই। এরপর শিক্ষার্থীদের আরেকটি গ্রুপ এসে আরেকটি বিষয় নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক উত্তেজিত হয়ে এ কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *