আন্তর্জাতিক

অফিসে কাজের ফাঁকে শারীরিক সম্পর্কের আহ্বান রাশিয়ার

জন্মহার কমে যাওয়ায় বড় সমস্যার মুখোমুখি রাশিয়া। সমস্যা সমাধানে দেশের নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ এবং কফি বিরতির ফাঁকে শারীরিক সম্পর্কের পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার!

সংবাদমাধ্যম মেট্রোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রাশিয়ার জন্মহার এমনভাবে কমছে যে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রুশ সরকার। আর সেই সমস্যা মোকাবিলার জন্যই দেশের জনসাধারণকে কাজের ফাঁকেই শারীরিক সম্পর্কের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ায় শিশুদের জন্মের হার বর্তমানে নারী পিছু ১.৫। অন্য দিকে স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখার জন্য সে দেশে প্রয়োজনীয় জন্মহার নারী পিছু ২.১। সেই কথা মাথায় রেখে এমন আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

জন্মহার ছাড়াও সরকারি রিপোর্ট বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ১০ লক্ষ রুশ তরুণ-তরুণী দেশ ছেড়েছেন। এই নিয়েও চিন্তা বেড়েছে পুতিন সরকারের।

রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্তোপলোভ সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়ার চাকরিজীবীদের বেশি বেশি করে শারীরিক সম্পর্ক করার এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

শেস্তোপলোভের দাবি, সন্তানধারণ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যস্ততার অজুহাত দেওয়া যেতে পারে না। মানুষের উচিত কর্মক্ষেত্রে বিরতির সময় কাজে লাগিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করা।

কিন্তু কীভাবে ১২-১৩ ঘণ্টা ধরে কাজ করা এক জন কর্মী সন্তান নেওয়ার কথা চিন্তা করবেন? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। কাজে ব্যস্ত থাকার অজুহাত খুব একটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। কাজের ফাঁকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য সময় বের করাই যায়।’

জনসংখ্যা হ্রাসের উদ্বেগ কমাতে দেশের জনগণকে কর্মক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কের পরামর্শ ছাড়াও বিনামূল্যে নারীদের প্রজননক্ষমতা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের নাগরিকদের উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুতিন সরকার। পাশাপাশি, সন্তানধারণে কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য কর্তৃপক্ষও যেন ভূমিকা পালন করেন, তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *