আনোয়ারা-কর্ণফুলীর ৪ নাবিক পরিবারে উৎকণ্ঠা
সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা আনোয়ারার ৩ নাবিকের পরিবারের দিন কাটছে চরম উদ্বেগ–উৎকন্ঠায়। ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে। এই ৪ জনের পরিবারে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। ৪ নাবিক হলেন- শামসু উদ্দীন শিমুল (৩৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), আসিফুর রহমান (২৪) ও নুরু উদ্দীন (৩৫)।
সাজ্জাদ হোসেনের পিতা গাজু মিয়া জানান, সারা জীবন দিনমজুর কাজ করে ৫ সন্তানকে শিক্ষিত করেছি। তাদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। মহান আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে আমার বুকে ফেরত আনে। আমি সবার দোয়া এবং সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। জলদস্যুদের হাতে জিম্মির মধ্যে বন্দরের শামসু উদ্দীন শিমুল (৩৫) এর পরিবারে চলছে কান্নার রোল। তার স্ত্রী রীমা ও তিন কন্যা আর্তনাদ থামানোর কেউ নেই।
শিমুলের ভগ্নিপতি বদরুল হক জানায়, জলদস্যুরা জিম্মি করার পর দুপুর দুইটায় আমার শ্যালক শিমুল আমাকে ফোন করে ঘটনাটি বলেন। আপাতত ঘরে না জানার জন্য নিষেধ করলে পরবর্তীতে বিকেল ৪ টায় সে নিজেই স্ত্রী রিমা আক্তার কে ফোন করে জলদস্যু তাদের জিম্মি করেন বলে জানায়। এই খবরে তার স্ত্রীও পরিবারের মেয়েরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শিমুলের পরিবারে দুই ভাই দুই বোন ছাড়াও স্ত্রী ও তার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
বদলপুরা গ্রামের আসিফুর রহমানের পিতা আক্তার উদ্দীন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আসিফ আমাদের ফোন করে জানায় তাদের জাহাজটি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। জলদস্যুরা তাদের জিম্মি করেছে। যে কোনো সময় তারা ফোন নিয়ে ফেলবে হয়তো আর কথা হবে না। আমার জন্য দোয়া করবেন। এই কথা বলে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন। আসিফের জন্য তার পুরো পরিবারের চলছে আহাজারি। তিনি আরো বলেন, আজ (বুধবার) আমরা অভিভাবকেরা সবাই কোম্পানির মালিকের কাছে গিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে আমাদের সন্তানদের মুক্তির সব ব্যবস্থা করবেন।