জাতীয়

আমলার সন্তানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন মন্ত্রী

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্বিবদ্যালয় তৈরি নিয়ে সরকারের আপাতত কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বললেন, ডিসিরা প্রস্তাব করতেই পারেন। যদি ভবিষ্যতে এটি করা হয়, সেখানে সবাই পড়াশোনা করতে পারবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করা হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাকরির বয়স ৩৫ বছর নিয়ে সংসদে কথা বলেছেন। তিনি এটিকে নিরুৎসাহিত করে বলেছেন, এর ফলে অবসরের সময় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এরপরও বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সুপারিশ করেছেন। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থীরা। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *