ইউপিডিএফের ৪নেতার মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে লোগাং এর অনিল কারবারী এলাকায় ইউপিডিএফের চার নেতার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ । এ ঘটনায় আরো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আবারো আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জেলার পানছড়িতে ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে পানছড়ি উপজেলার লৌগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় অতুল চন্দ্র চাকমার বাড়িতে রাত যাপনকারী ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের লক্ষ্যকরে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পৌঁছায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন, গণতান্ত্রিক যুবফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানছড়ি উপজেলার লৌগাং করল্যাছড়ি এলাকার বাসিন্দা বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রওয়াজা হেডম্যান পাড়া এলাকার সুনীল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সহ-সভাপতি ও ধ্রনচার্য কার্বারি পাড়ার লিটন চাকমা এবং ইউপিডিএফ সদস্য উল্টাছড়ি ইউনিয়নের পৌদ্দিনি পাড়ার রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। ২০১৮ সালের স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের পর এ হামলায় সবচেয়ে বেশী হতাহত হয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের চূড়ায় একটি বাগানবাড়ির প্রবেশমুখে কিছু ইটের টুকরোর স্তুপের ওপর পরে আছে পিছমোড়া করে হাত বাঁধা রক্তাত একটি মরদেহ। টিনশেট বিল্ডিং বাড়িটির ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখা গেছে মেঝেতে পরে আছে আরো দুটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ। ঘরের পেছনের সাইটে লিচু গাছের তলায় পড়ে রয়েছে আরো একজনের মরদেহ।
এ ঘটনাকে নিজেদের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে জানিয়েছেন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের থেকে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ। এছাড়াও আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে একমাস পানছড়ি বাজার বয়কট করার ঘোষণা করেছে দলটি।