চট্টগ্রাম

উদ্বোধনের এক মাসে বেড়েছে সম্ভাবনা

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বাস্তব অর্থে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অর্থনৈতিক বিবেচনায় পরিকল্পিত শিল্পজোন করার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করার উপর জোর দিচ্ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আলাদা শিল্প ও আবাসিক জোনে আনোয়ারা-কর্ণফুলীকে নিয়ে পরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে যাচ্ছে।

গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এরপর হতে চলছে এক মাস। এ সময়ে টানেল দেখার আগ্রহ ও পর্যটন শিল্পে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। অঘোষিত বাস স্টপেজ বসে গেছে আনোয়ারা প্রান্তে কালাবিবির দিঘি এলাকায়।

এরইমধ্যে চালু হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের ৫টি শাখা-উপশাখা। চালুর অপেক্ষায় আছে আরও দুটি। সংযোগ সড়কের মুখে চালুর অপেক্ষায় আছে ইউনিটেক্স গ্রুপের সমন্বিত গার্মেন্টস কারখানা। শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়তে এখানে ধানি জমি কিনে ব্যবসায়িক প্লট করার চিন্তায় আছে অন্তত একশ প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, চট্টগ্রামে বর্তমানে যেসব শিল্পকারখানা আছে তার ৯০ শতাংশই কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে। দক্ষিণ তীরে আছে মাত্র ১০ শতাংশ। টানেল চালুর মধ্য দিয়ে আনোয়ারা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর কিংবা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত গড়ে উঠতে পারে বিজনেস হাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *