‘কফি হাউসে’র সেই আড্ডাটা আর নেই
অনলাইন খুচরা পণ্য বিক্রির ওয়েবসাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাটা জেফ বেজোস (৬০) আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ইলন মাস্ককে হটিয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেওয়ার্স ইনডেক্সের চূড়ায় এখন বেজোস। তৃতীয় স্থানে আছেন বার্নার্ড আরনল্ট।
আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ ১৯৮ বিলিয়ন ডলার।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টেসলার শেয়ারের দাম ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় মাস্ক প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
কাঁটা ঘায়ে লবণের ছিটা দিতে আদালত জানুয়ারিতে টেসলার সঙ্গে মাস্কের পারিশ্রমিক চুক্তি বাতিল করেছে, যার মোট মূল্যমান ছিল ৫৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এক্স ও স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক টেসলার সঙ্গে ২০১৮ সালে এই চুক্তি করেছিলেন।
বেজোস এখন আর অ্যামাজনের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য বড় আকারে বেড়েছে, যা থেকে তিনি বিশেষ লাভবান হয়েছেন।
তিনি আট দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দিলেও এখনও এককভাবে অ্যামাজনের সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক।
এলভিএমএইচ গ্রুপের ফরাসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নার্ড আরনল্ট ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৭ বিলিয়ন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ (১৭৯ বিলিয়ন ডলার) ও বিল গেটস (১৫০ বিলিয়ন ডলার)। ভারতের মুকেশ আমবানি (১১৫ বিলিয়ন) ও গৌতম আদানি (১০৪ বিলিয়ন) আছেন যথাক্রমে ১১ ও ১২তম অবস্থানে।
বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, ২০২১ সালে সর্বশেষ জেফ বেজোস ধনীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন। অ্যামাজনের শেয়ারের দাম এ বছরের শুরু থেকে ১৭ শতাংশ এবং গত বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে।