রাজনীতি

কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে: সাদ্দাম

কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক আন্দোলন করেছে।

পরে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার রায়ে সন্তোষ জানিয়ে তারা ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু পেশাদার আন্দোলনকারীরা আজ নৈরাজ্য তৈরি করেছে। তারা এখনও ব্লকেড-ব্লকেড খেলা খেলছে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ এবং উন্মুক্ত আলাপনসহ একাধিক ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সাদ্দাম বলেন, একটি বিষয়ে যেখানে সকল পক্ষই আন্তরিক, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির একটি ধাপ ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। সেই আন্দোলনকে কেন টেনে প্রলম্বিত করছে? যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন করছে, তারা প্রথমে বলেছিল, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করলে আন্দোলনে ইস্তফা দেবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল করা হয়েছে, তবুও তারা অনর্থকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর তারা নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠন করার কথা বলেছে। এখন তারা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সংসদে আইন পাশ করার কথা বলছে। অথচ, কোটা সবসময় একটি চলমান বিষয়, যা নির্বাহী বিভাগ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণয়ন করে।

তিনি আরও বলেন, এটি কোনো মব জাস্টিস বা স্পট ডিসিশনের কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার কিছু মৌলিক নিয়ম কানুন রয়েছে। আজকে যারা স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করছে, তারা কী নির্বাহী বিভাগ আর বিচার বিভাগের পার্থক্য জানে না? আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে যে স্বতন্ত্র পার্থক্য রয়েছে, এটি সম্পর্কে তারা অবগত নয়?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *