জাতীয়

ক্ষতিপূরণ পাবেন মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকরা, দায়ীদের ছাড় নয়

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভিসা পাওয়ার পরও মালয়েশিয়া যেতে না পেরে শ্রমিকরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সেই সঙ্গে এ ঘটনার জন্য দায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ বুধবার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের যে এগ্রিমেন্ট ছিল, তাতে (মালয়েশিয়ায় প্রবেশের) শেষ তারিখ ছিল ৩১ মে। সেটা ফুলফিল করতে গিয়ে মালয়েশিয়ান সরকারও চেষ্টা করেছে, আমরাও চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের ভিসা ইস্যু হয়েছে। হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আপিল করেছি, অন্ততপক্ষে যে ১৭ হাজার মানুষ ভিসা পেয়েছে, তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ ও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা আশা করছি, আমাদের অনুরোধ তারা রক্ষা করার চেষ্টা করবে।’

আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশন আজও বলেছেন, তারা সময়সীমা বাড়াবে না- এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলেছে। আমরা অনুরোধ করেছি। কারণ আমাদের গরিব যারা মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য অর্থ ব্যয় করেছে, তারা যাতে যেতে পারেন।

‘আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি ছয় সদস্যের তদন্ত দল গঠন করেছি। কমিটি বের করবে তারা কোন কারণে যেতে পারেনি, কী সমস্যা ছিল, কাদের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কমিটির মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আসবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব’- বললেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা আপিল করেছি যাদের ভিসা আছে তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তদন্ত চলছে, কাদের দ্বারা এ সমস্যা হচ্ছে আমরা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সাত দিনের ভেতর রিপোর্ট দেওয়া হবে। যাদের বিএমটিএ আছে কিংবা ইভিসা আছে তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তালিকায় নাম এলে সবাই ক্ষতিপূরণ পাবে। এ ছাড়াও বায়রা যে পাঁচ হাজার তালিকা বলেছে তা বায়রার কোন তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচ হাজার বলছে সেটি নিয়ে তারা বিস্তারিত বলবে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সেটি ১৭ হাজার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *