চকরিয়ায় বন্যা, পানিবন্দি ১০ গ্রামের মানুষ
টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়ার অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তন্মধ্যে পৌরসভার কোচপাড়ার কয়েকশত পরিবারের বসতবাড়িগুলো একেবারে ডুবে রয়েছে পানিতে।
উজানের পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তীব্রতায় মাতামুহুরী নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। গতরাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদীতে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এই পরিস্থিতিতে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় চকরিয়া পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার বমুবিলছড়ি, কাকারা, লক্ষ্যারচর, সুরাজপুর–মানিকপুর, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বরইতলী ও বিএমচর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িসহ গ্রামীণ অবকাঠামো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এসব ইউনিয়নের নিচু এলাকার রোপিত আমন ক্ষেত ও রকমারি সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পৌরসভার কোচপাড়ার বাসিন্দারা জানায় – গত শুক্রবার গভীর রাতে চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়াস্থ এক নম্বর গাইড বাঁধটির কিছু অংশ ভেঙে যায়। সেই ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে পানি প্রবেশ কোচপাড়ায়। একইসময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ১২টি বসতবাড়ি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান – মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়তে পারে সেই আশঙ্কায় তীরে বসবাসরত ৪০টি পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি কমে গেলে ভাঙন এলাকা মেরামত করা হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে চকরিয়ার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। আশ্বাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের।