চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অচল: শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে?

গত দুই মাস ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সম্পূর্ণ অচল রয়েছে। কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি তোলে। দাবির মুখে চবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পদত্যাগ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অচল হয়ে পড়ে। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চবি-তে নতুন প্রশাসন না আসায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন।

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা বাড়ছে।” আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা উচিত নয়।” ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসনিক সংকটের কারণে শিক্ষাক্রম স্থবির হয়ে পড়ে আছে। শিক্ষার্থীদের অমূল্য সময় নষ্ট হচ্ছে।”

হলগুলো খুলে না দেওয়ায় বাড়িতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দুটানায় পড়েছেন। হলে সিট বরাদ্দ নিয়েও অনেকে চিন্তিত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় রাসেল আহমেদ বলেন, “সবাই চায় হলে সিট বরাদ্দ সিস্টেম্যাটিকভাবে হোক।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন, “নতুন প্রশাসন আসার আগে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব না।” তিনি আশা করছেন, এই সপ্তাহে নতুন প্রশাসন আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *