চিকিৎসক কোরবান হত্যা মামলায় রিয়াদ কারাগারে
নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনিতে সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি মো. রিয়াদকে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞার আদালত এ আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী তারেক হাসান মুন্না বলেন, চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যা মামলায় দুই নম্বর আসামি মো. রিয়াদ
উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। জামিন না দিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য ডিরেকশন দিয়েছিলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আজ চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জুন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত একই মামলার আসামি চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলমের আদালত একই মামলায় চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ইউসুফ বাবু জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফিরোজশাহ কলোনির ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় গত ৫ এপ্রিল কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েছিলেন দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও হামলার শিকার হন কোরবান আলী। গত ১০ এপ্রিল একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোরবান আলী মারা যান।
এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৬ এপ্রিল আকবর শাহ থানায় আলী রেজা একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই মামলায় আসামিরা হলেন- মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, আরিফুল্লাহ রাজু, অপূর্ব, সাগর, সংগ্রাম ও শাফায়েত।