চট্টগ্রাম

ছাত্র আন্দোলনের হুমকি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর অচল করার পায়তারা

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ছাত্র আন্দোলনকে ব্যবহার করে নিজস্ব অভিযোগের সাপেক্ষে ব্যক্তি-স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে অচল করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের ইশারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মের লাখ লাখ ছাত্ররা ঝাপিয়ে পড়বে বলেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মূল বন্দরের প্রধান অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদেরকে উত্তেজিত করে তাদেরকে দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে হামলা করে সেটিকে অচল করে দেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের মতো বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক লাইফলাইনকে অচল করে দেওয়ার অপচেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, সাইফ পাওয়ারটেকের বিরুদ্ধে যদি স্বার্থান্বেষী মহলটির কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থেকে থাকে, তবে তারা তা লিগ্যাল প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। যে কারো বিষয়েই অভিযোগ আসতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে বা আন্দোলনরত ছাত্রদের দোহাই দিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করা নিন্দনীয়। এতে বন্দরের শৃঙ্খলা নষ্ট হবে এবং মূল কাজ তথা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এতে দেশ অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে, যা বর্তমান বিরাজমান অবস্থায় কাটিয়ে ওঠা খুবই কষ্টসাধ্য হবে।

জানা যায়, পূর্বে এই স্বার্থান্বেষী মহলের একজন সাইফ পাওয়ারটেকে কর্মরত ছিলেন। তার কাজের মান ও ব্যক্তিগত আচরণ খারাপ হওয়াসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের চাকরি হতে অব্যাহতি নেন।

বর্ণিত গোষ্ঠীর কার্যক্রমে চলমান পরিস্থিতিতে বিব্রত হয়ে সাইফ পাওয়ারটেক থেকে তার প্রতি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে কাজ করে। ব্যক্তিগত এমনকি সামষ্টিক আক্রোশের বশবর্তী হয়ে যদি কেউ এই প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থার সৃষ্টি করে, তবে তা হবে খুবই দুঃখজনক। এমতাবস্থায় অভিযুক্তরা যেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়মতান্ত্রিক চ্যানেলের মাধ্যমে সমাধান করার জন্যে যথাবিহিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকটে উপস্থাপনপূর্বক নিরসনের চেষ্টা করেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোম্পানির পক্ষ থেকে মত প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *