আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের গাড়িতে ইসরায়েলের হামলা

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২৫ নভেম্বর) লেবাননে মিশনের টহলগাড়িতে এ হামলা করে তারা। হামাস ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ফলে লেবানন সীমান্ত অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল থাকার সময়ে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আইতারুনের পার্শ্বববর্তী এলাকায় শান্তিরক্ষা মিশনের গাড়িতে হামলা হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের এ হামলা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হামলার কারণে টহলে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েল লেবানন সীমান্ত যখন স্থিতিশীল তখন এ হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলে তা হিজবুল্লাহও পালন করবে। শুক্রবার সকাল থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এ যুদ্ধবিরতিতে আলোচনার অংশ নয় হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর একটি সূত্র আলজাজিরাকে জানায়, তারা ততক্ষণ শান্ত থাকবে যতক্ষণ ইসরায়েল এ চুক্তিকে সম্মান করবে। যুদ্ধবিরতির এ সময়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কোনো ধরনের হামলা চালানো হবে না। তবে শর্ত ভঙ্গ করলে তার কঠিন জবাব দেবে দলটি।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *