দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫.৬ শতাংশ
গত পাঁচ বছরে দেশের দারিদ্র্যের হার প্রায় ৫.৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। দেশে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে। তবে একই সময় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে পরিবার প্রতি আয় ও ব্যয়। গ্রামের তুলনায় শহরে এখন আয়ের বৈষম্য চরমে পৌঁছেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই খানা আয় ও ব্যয় জরিপে সারা দেশের ১৪ হাজার ৪০০ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপে বলা হয়েছে, এখন দেশে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০১৬ সালে যা ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
জরিপ বলছে, ২০২২ সালে মারাত্বক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ১ দশমিক এক ৩ শতাংশ ব্যক্তি, যা ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ এসডিজির অভীষ্ট অর্জনের পথে আছে।
বিবিএস এই জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পরিবার প্রতি আয়ের প্রসঙ্গও। সেখানে দেখানো হয়েছে, ২০১৬ সালের তুলনায় পরিবার প্রতি আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা ও ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। সেখানে ২০২২ সালে প্রতি পরিবারের মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪২২ টাকায়।
আয় বাড়লেও খাবার কেনার পেছনে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। একজন ব্যক্তি খাবার কিনতে আয়ের ৪৫.৮ শতাংশ অর্থ ব্যয় করছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ৪৭.৭ ভাগ। খাদ্যের বাইরে অন্যান্য পণ্য কেনার প্রবণতা বেড়েছে বলেও উঠে এসেছে বিবিএসের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।