আইন-আদালতচট্টগ্রাম

দুদকের মামলায় ৩ বছরের জেল আবাসন পরিদপ্তর কর্মকর্তার

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকারি আবাসন পরিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মীর হোসেনকে ৩ বছর ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। রায় যোষণার সময় আসামি মীর হোসেন জামিনে হাজির ছিল এবং তাকে সাজা পরোয়ানামূলে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত মীর হোসেন নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার সিংহ বাহুরা গ্রামের মৃত মৌলভী আবদুল খালেকের পুত্র।

দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ এপ্রিল আসামি মীর হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং ২৬(২) ধারায় চার্জ গঠন হয়। তার বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ পাঠ করে শোনালে এবং ব্যাখ্যা করে বোঝালে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরবর্তীতে তিনি অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ফৌজদারী রিভিশন দায়ের করলে উচ্চ আদালত মামলাটি চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে বিচার নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন।

পরবর্তীতে দুদক প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থাপিত ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও আলামত গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষীদের আসামি পক্ষ জেরা করলে জেরার জয়ানবন্দি শেষে আসামিকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারা মোতাবেক পরীক্ষা করা হলে তিনি নিজেকে আবারও নির্দোষ দাবি করেন।

রায়ের বিষয়টি সিভয়েস২৪-কে নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘দুদকের মামলায় আসামি মীর হোসেন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আজ (রবিবার) বিকেল ৩টায় মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’

তিনি বলেন, ‘রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসামিকে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারার অপরাধে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এছাড়া একই আইনের ২৬(২) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় আসামিকে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এই দুই সাজা একইসাথে চলবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *