চট্টগ্রাম

দুর্ঘটনা এড়াতে ডিভাইডারে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার

ফ্লাইওভার কিংবা সড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার চিত্র প্রায় প্রতিদিনের। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। এর বড় কারণ- ঘন কুয়াশায় গাড়ির চালকরা ডিভাইডার দেখতে পান না। তবে এবার শীত আসার আগেই এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের যুবক কায়ছার আলী চৌধুরী। নিজ উদ্যোগে নগরীর ফ্লাইওভার ও সড়কগুলোর ডিভাইডারে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার লাগাচ্ছেন তিনি।

কায়ছার আলীর ভাষ্য- নগরীর ফ্লাইওভার ও সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত আলোকায়ন নেই। এ কারণে সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। শীতকালে ঘন কুয়াশা থাকায় ফ্লাইওভার কিংবা সড়কে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডিভাইডারে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানো থাকলে অনেক দূর থেকেই সেটি চালকদের নজর কাড়বে। তারা সাবধানে গাড়ি চালাতে পারবেন। দুর্ঘটনা কমে আসবে।

ইতোমধ্যে নগরীর আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, ব্যস্ততম কাজীর দেউড়ি, মেহেদিবাগের ম্যাক্স হাসপাতাল, পাঁচলাইশের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এলাকাসহ নগরীর ২০টি সড়কের ডিভাইডারে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানোর কাজ শেষ করেছেন কায়ছার। শীতকাল আসার আগে আরও ৮০টি সড়কের ডিভাইডারে এমন স্টিকার লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।

কায়ছার আলী বলেন, কেবল সওয়াবের উদ্দেশ্যে সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কাজ করছি। রিফ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানোর ফলে একটি দুর্ঘটনাও যদি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, একটি প্রাণও যদি বাঁচে- আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।  শুধু সড়ক ডিভাইডারে স্টিকার নয়, ভবিষ্যতে নগরীর অলি-গলিতে ‘সাইড মিরর’ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মিলে আমরা সবাই কাজ করলে চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।

সড়কের ডিভাইডারে লাগানো রিফ্লেক্টিভ স্টিকার সংরক্ষণে নগরবাসীর সহায়তা চেয়ে কায়ছার আলী চৌধুরী বলেন, কিছু কিছু এলাকায় আমরা খবর পেয়েছি-স্টিকার লাগানোর পর পথশিশুরা সেগুলো নষ্ট করে ফেলছে। যেখানে খবর পাচ্ছি সেখানে ফের স্টিকার লাগানো হচ্ছে। নগরবাসীরা এগিয়ে এলে স্টিকারগুলো আর নষ্ট হবে না। সবাই উপকৃত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *