চট্টগ্রাম

দোকানের ১১ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট কর্মচারী

টেরীবাজারের দোকান কর্মচারী এমরানুল হক। এক দশকেরও বেশি সময়ের এই কর্মচারী চরম বিশ্বস্ত দোকান মালিকের কাছে। তাইতো ১০ বছর ধরে হাত ধরেই দোকানের সমস্ত লেনদেন। তবে তক্ষক বিক্রি করে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে সব তছনছ। অন্য একজনকে সঙ্গে করে ১১ লাখেরও বেশি টাকা নিয়ে চম্পট দেন তিনি। কিন্তু এর দুইদিন না যেতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দুইজনেই।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পুকুরিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম কমিশনার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার এমরানুল হক সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়া ইউপির দক্ষিণ হাতিয়ারকুল গারাংগিয়া গ্রামের মো. নুরুল কবিরের ছেলে। অন্যজন হলেন, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মোক্তার আহমদ প্রকাশ রানা বৈদ্য (৪৭)।

জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমরানুলকে দোকানের মালামাল কেনার টাকা পরিশোধের জন্য নগদ সাড়ে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার দুটি চেক দেন টেরীবাজার মাস্টার মার্কেটের রাবেতা ক্লথ স্টোরের মালিক কামরুল ইসলাম। সেই টাকা পাওনাদারদের ব্যাংকে পরিশোধের জন্যে দোকান থেকে বের হয় এমরানুল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও সে টাকা পরিশোধ করে দোকানে ফিরে যায়নি। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরদিন দোকান মালিক কামরুল ইসলাম কোতোয়ালী থানায় টাকা আত্মসাতের মামলা করেন।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক বলেন, আত্মসাৎ করা টাকা এবং চেক নিয়ে দোকান কর্মচারী এমরানুল আরেক আসামি রানা বৈদ্যের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলো। রানা বৈদ্যের যোগসাজশে এমরানুল খাগড়াছড়ি থেকে সরীসৃপ প্রাণী তক্ষক কিনে অবৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য মূলত টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছিলো।

‘মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা টাকার মধ্যে সাড়ে ৯ লাখ টাকা এবং দুটি চেক উদ্ধার করা হয়। তারা ১৩ হাজার টাকা খরচ করেছিলো’— বলেন ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *