জাতীয়

নারী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনা অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা

চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে নারীসহ দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের একজন নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। নিজেকে প্রমাণ করতে পরতেন সেনা সদস্যদের পোশাক।

আর সঙ্গে রাখতেন কথিত একজন ‘ম্যাজিস্ট্রেট’। টার্গেট করতেন বিদেশ যেতে ইচ্ছুক যুবক ও চাকরি প্রত্যাশীদের।

প্রতারক চক্রের একজন নিজেকে পরিচয় দেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ক্যাপ্টেন দিদারুল ইসলাম। তার সঙ্গে থাকেন একজন নারী। সেই নারী নিজেকে পরিচয় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলে।

যদিও সেনা সদস্যের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কোন কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ এতকিছু ভাবে না। আর এই সুযোগ নেন দুই প্রতারক।

প্রতারকদের টার্গেট বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এবং চাকরি প্রত্যাশীরা। তাদের প্রতারণার শিকার কিশোরগঞ্জের এক ভুক্তভোগী। তার মেয়েকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেয়া এবং ছেলেকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে অভিযুক্তরা হাতিয়ে নেয় ৪৩ লাখ টাকা।

টাকা নিয়েই ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয় প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে জীবনের সব সঞ্চয় চলে গেছে প্রতারকের হাতে। এরপর সহায়তা নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতারকরা ভুক্তভোগীর ছেলেকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর নামে এবং মেয়েকে ব্যাংকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এই প্রতারক চক্র একইভাবে এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেও হাতিয়ে নেয় ১৯ লাখ টাকা।

ডিবি প্রধান জানান, অনেক মা-বাবাই সন্তানের চাকরির জন্য এতোটাই মরিয়া যে, তারা যৌক্তিক বিষয়গুলোও মাথায় রাখেন না। তাদের অসচেতনতার সুযোগ নেয় প্রতারকরা।

হারুন অর রশিদ এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের সাথে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানায় ডিবি প্রধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *