নিখোঁজ কাজলের সন্ধানে অভিযান চলছে কর্ণফুলীতে
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ফেরির সাথে নৌকার ধাক্কায় নদীতে নিখোঁজ আশরাফ উদ্দিন কাজলের (৪৮) সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ধারণা করা হচ্ছে—ভাটার টানে ওই ব্যক্তির লাশ মোহনার দিকে ভেসে গেছে। রবিবার (২৩ জুন) ভোর ৬টা থেকেই আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নিখোঁজ আশরাফ উদ্দিন কাজল চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক। তাঁর বাড়ি বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদণ্ডী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই এলাকার মরহুম মেজর হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এছাড়া উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি একই উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ইমামুল্লার চরের ছবুর আহমদের ছেলে নূর কাদের (৩৮)।
শনিবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ফেরির সাথে ধাক্কা লাগে একটি যাত্রীবাহী নৌকার। এসময় নৌকায় থাকা আশরাফ উদ্দিন কাজল এবং নূর কাদের পানিতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে নুর কাদেরকে উদ্ধার করা গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আশরাফ উদ্দিন কাজল। ওই দিন রাত পর্যন্ত তার সন্ধান না পাওয়ায় প্রথম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তিনজন নদীতে পড়ে গিয়ে দুজন নিখোঁজ হওয়ার কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ-পুলিশ নিশ্চিত করেছে নিখোঁজ রয়েছেন একজনই।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘বোয়ালখালী থেকে চট্টগ্রাম নগরে আসার সময় ফেরির সঙ্গে একটি নৌকার সংঘর্ষ হয়। এ সময় নৌকার দুই যাত্রী ফেরির নিচে পড়ে নিখোঁজ হন। সেসময় একজনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা হলেও অপরজন নিখোঁজ ছিলেন। আমরা ওইদিন রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করি। আজ ভোর ৬টা থেকে ডুবুরি দল নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনসহ দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদিন উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকবে। আমরা কালুরঘাট ব্রিজ থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত চক্কর দিচ্ছি। তবে এখনো নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাইনি। সাধারণত কেউ পানিতে তলিয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে উঠতে পারে।’
‘যখন লোকটি ডুবে যায় তখন ভাটা ছিল। ভাটার টানে মোহনায় তার মরদেহ ভেসে এসেছে কিনা সেখানেও আমরা অভিযান চালাচ্ছি’— যোগ করেন তিনি।