নির্বাচনের দিন নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা জেনে গেছি: আইজিপি
ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা জেনে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের দিন তারা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
আইজিপি বলেন, নাশকতাকারীরা বিকট শব্দে আওয়াজ কিংবা ককটেল ফাটিয়ে মানুষের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তাদের তথ্য আমরা পেয়েছি এবং আমাদের প্রস্তুতিও নিয়েছি। আশা করি, এ ধরনের ভীতি তারা তৈরি করতে পারবে না।
নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কেউ নাশকতা করতে পারবে না। চোরাগোপ্তা হামলা দুএকটা জায়গা করতে পারে। সারাদেশে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে। তবে নাশকতাকারীরা কোথাও সফলভাবে কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি উপহার দিতে পারব।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আজ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিগত নির্বাচন গুলোতে ভার্চ্যুয়ালি গুজব ছড়ানো হয়। এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভার্চ্যুয়াল গুজব ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা কী থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সাইবার দুনিয়ায় কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
হরতালের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, এ দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী এবং নির্বাচনের জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে। দলে দলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। ভোট উৎসবে হরতালকারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আমার মনে হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই একসঙ্গে একযোগে কাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে এক প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করছে।