নেশা করিয়ে ‘অন্তরঙ্গ’ ছবি তুলেছে নোবেল, থানায় জিডি
বিতর্ক ও গায়ক মইনুল আহসান নোবেল যেন মুদ্রার এপিট-ওপিট। মাঝে মাঝেই অস্বাভাবিক সব কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় আসেন এ সংগীতশিল্পী। গত সোমবার (২০ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে গায়ক মইনুল আহসান নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেট করেন জানান তিনি ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এ বিষয়ে এতোদিন ফারজান আরশি বক্তব্য না দিলেও আজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে নোবেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে আরশি দাবি করেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে তার সঙ্গে ছবি তুলে সেগুলো ভাইরাল করেছে। এই সংগীতশিল্পীর সঙ্গে তার কোনো বিয়ে হয়নি। এ বিষয়ে ডেমরা থানায় জিডিও করেছেন তিনি।
ফেসবুকের পোস্টে আরশি লিখেছেন, ‘আমি ফারজান আরশি। আপনাদের যাকে নিয়ে অনেক কৌতূহল। এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য।
আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবী ও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
এরপর তিনি লেখেন, ‘পরে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথা মত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’
আরশি আরও লিখেছেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্ক ও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একটি মেয়ে ,আমি আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।’
এদিকে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেশ কিছুদিন আগে ফারজান আরশির বাবা থানায় এসে মৌখিভাবে জানান তার মেয়েকে গায়ক নোবেল জোর করে তুলে এনেছেন। পরে আরশি এসে জানান, তার বাবার অভিযোগ মিথ্যা। নোবেল তাকে তুলে আনেননি। তিনি ২২ বছরের তরুণী। নিজেই নোবেলের সঙ্গে এসেছে। কিন্তু উভয় পক্ষের কেউ আমাদের কাছে লিখিত কিছু জানাননি।
এর আগে গত সোমবার আরশির সঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে নোবেল দাবি করেন, আরশিকে বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।