পটিয়াকে মডেল উপশহর বানাবো : এয়াকুব আলী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এম এয়াকুব আলী উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন এলাকায় তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ইশতেহার উপস্থাপন করেন।
এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমি আপনাদের ভাই, সন্তান হিসাবে হাজির হয়েছি আপনাদের দরজায়। আপনাদের অকৃত্রিম ভালবাসা, সমর্থন, সহযোগিতাকে সবসময় আমার মাথার উপর স্থান দিয়েছি। আর্ত-মানবতার সেবায়, আপনাদের সুখে-দূঃখে নিরন্তর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি জানি আপনারা যতদিন ভোটের আমানত শক্তভাবে সংরক্ষণ করবেন, ততদিন পথ হারাবে না আমার পটিয়াবাসী। পটিয়াবাসীর স্বার্থে আমার কোনো আপোষ নেই। আমি ছোটবেলা থেকে প্রতিকূলতায় পথ চলতে শিখেছি। অন্যায়ের কাছে মাথা-নত করা শিখিনি কখনো। পটিয়াবাসীর জন্য জীবনবাজি রাখতে রাজি।’
ইশতেহারে বলা হয়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে, রাস্তা ও বাড়িভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন। পরিকল্পিত খাল খনন, ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে পটিয়াকে স্বাস্থ্যকর বাসস্থান উপযোগী করে তোলা। ফরমালিনমুক্ত বাজার ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত, মাদকমুক্ত ও সামাজিক অনাচার, অত্যাচার নিরসনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, নারীসহ সবার জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের নারী-পুরুষ তথা সাধারণ মানুষের সেবার পরিধি বাড়ানো, সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান, মশক নিধনের ব্যবস্থা করাসহ স্কুল ও কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি নিশ্চিত করণে উদ্যোগ গ্রহণ। এলাকার মানুষের সহজ যাতায়াতের সুবিধার্থে গণপরিবহনের ব্যবস্থা, যথাস্থানে সিএনজি টেক্সি স্টপেজ, সড়ক সংস্কার ও পথচারী সংকেত, পরিবেশ বান্ধব সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা ও সাইকেল লাইন তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে স্কুল-কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোকাবেলায় আরো সাইক্লোন সেন্টার নিমার্ণ, যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহন করব ইন্শাআল্লাহ্। পিপিপির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পাবলিক স্থানে ফ্রি ওয়াই-ফাই চালু ও ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা গ্রহণ, সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ডিজিটাল বুলেটিন বোর্ড স্থাপন, নাগরিক সমস্যা, নাগরিক সেবা, অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করণ। মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, শিক্ষার্থী, ও বয়স্ক নর-নারীদের জন্য বিশেষ সেবা সম্বলিত প্রজেক্ট কার্ড চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ। আইনি দুর্বলতা দূর করে পটিয়া উপজেলাকে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং জবাবদিহিমূলক শক্তিশালী সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা ও জনসম্পৃক্ত করা। ন্যায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, উপজেলা ভিত্তিক গ্রাম আদালত ও কেন্দ্রীয়ভাবে বোর্ড অফিসে সভা করা, থানা ভিত্তিক উন্নয়নে উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করাই হবে আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পটিয়াকে বেকারমুক্তকরণ। সে লক্ষে এই পটিয়াতে একটি আধুনিকমানের কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।’