অর্থনীতি

প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বগতি, ৭ দিনে রেমিট্যান্স ৩৯ কোটি ডলার

সরকার পরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, নতুন সরকারের প্রতি আস্থার কারণে সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে প্রবাসী আয়। এদিকে দেশের খোলা বাজারেও ডলারের দাম কমেছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমার পাশাপাশি অর্থপাচার কমলে, সুফল মিলবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা বয়কট রেমিট্যান্সের ডাক দেয়। এতে গত মাসের শেষ ১১ দিনে মাত্র ৩৮ কোটি ডলার আসে। কিন্তু সরকার পতনের পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের পালে জোর হাওয়া লাগে। আগস্টের প্রথম তিন দিনে এসেছিল সাড়ে ৯ কোটি ডলার। পরের সাত দিনে এসেছে প্রায় ৩৯ কোটি ডলার।

জার্মানীর মিউনিখে অবস্থানরত প্রবাসী মুকুল মিয়া বলেন, আমরা একটা নির্দিষ্ট কারণে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমরা নিয়মিত বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাব।

এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলছেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা, আগের সরকারের প্রতি প্রবাসীদের অনাস্থায় রেমিট্যান্স কমে যায়। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন সরকারের প্রতিশ্রতিতে তারা আস্থা রাখছেন।

এদিকে দেশের খোলাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১১৯-১২১ টাকার মধ্যে।

ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলার কিনতে এসে দেখা যায় টাকার বিপরীতে এক ডলারের দাম ১২৬ টাকা। তবে এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়।

সেন্টার ফর পলিসিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করায় নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমছে। সেইসঙ্গে অর্থপাচার রোধ করা গেলে মুদ্রাবাজারে স্বস্তি বাড়বে। গত জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১৯১ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ডলার কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *