জাতীয়

ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, ঘোষণা যেকোনো সময়

শিগগিরই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে চলেছে সরকার। ইতোমধ্যে ৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ, যার ঘোষণা আসতে পারে যেকোনো সময়। গত বছর তিন দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শুরুতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ জনগণের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের দাবি, বিদ্যুতের ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ এবং বিক্রির মধ্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বিদ্যুতের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। এবছরও বিদ্যুতের দাম আরও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

গত মঙ্গলবার সচিবালায়ে এক ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ডলারের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে যে জ্বালানির দাম সহনীয় থাকলেও লোকসান হচ্ছে। সেজন্য দাম সমন্বয় করা হবে। ১ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে যাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকার মতো নেওয়া হয়। সেখানে হয়ত ৩০ থেকে ৩৫ পয়সার মতো বাড়তে পারে। তবে যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, বাসায় দুই থেকে ৩টি এসি ব্যবহার করে, তাদের বিল ৭০ পয়সার মতো বাড়তে পারে। তাদের মাসের বিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। সরকার ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। এখন রাজস্ব থেকে ভর্তুকি দিচ্ছে এটি খুবই ব্যয়বহুল।

তবে বিদ্যুতে ভর্তুকির হার শূন্যে নামাতে গত মাসে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বাল্ক মূল্যহার ৮০ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠায় বিদ্যুৎ বিভাগে।একই সঙ্গে বাল্ক মূল্যহার বৃদ্ধির ফলে বিতরণ কোম্পানি ও সংস্থাগুলোর লোকসান শূন্যে নামাতে গ্রাহক পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *