বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের শঙ্কা, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
আগামীকাল বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হলে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এরপর তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এখনই গতিপথ বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সাগরের পানির তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকতে হয়, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি তেমনই রয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ, খুলনা-বরিশাল বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়া অন্যত্র তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এছাড়া আজ ভোর পাঁচটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে ১২ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।