চট্টগ্রামবাঁশখালী

বাঁশখালীতে ফসলি জমিতে তিন ইটভাটা, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে তিনটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি নির্মিত ইলশা গ্রামের ভাটায় ইট পোড়ানো চলছে পুরোদমে।

বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সোলেহার বাপের পুল থেকে বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত সড়কের এলজিইডির পাকা সড়কের আনুমানিক ৩০ গজের মধ্যে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বিঘা আয়তনের আবাদি জমি নষ্ট করে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। লোকালয় থেকে ভাটার দূরত্ব খুব কাছাকাছি। ফসলি জমির মাঝখানে গড়ে উঠেছে আল্ মদিনা, চৌধুরী ব্রিকস-১ ও চৌধুরী ব্রিকস-২ নামে ৩টি অবৈধ ইট ভাটা। এই ইট ভাটা গুলোতে প্রতিনিয়ত পোড়ানো হচ্ছে পাহাড়ি কাঠ ও ফসলি জমির মাটি। কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। তাছাড়া এই ইটভাটা গুলোতে অত্যাধুনিক পরিবেশ সম্মত কয়লা ও চিমনী ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। যার দরুন ইটভাটায় পোড়ানো ধোয়ার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব। আমের মুকুল ঝরে পড়ছে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-তে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দু’বছর কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। ওই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি ২-১০ বছরের জেল এবং ২-১০ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আইনে আরও বলা আছে, আবাসিক, জনবসতি, সংরক্ষিত এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বনভূমি, জলাভূমি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করলে একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইটভাটার মধ্যে ১২টিই অবৈধ। লবণের মাঠ, ফসলি জমি, জনবসতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশিরভাগ ইটভাটা। এগুলো হচ্ছে চৌধুরী ব্রিকস, চৌধুরী ব্রিকস ২, জামান ব্রিকস, ঝন্টু ব্রিকস, রত্নপুর ব্রিকস। চৌধুরী ব্রিকস, চৌধুরী ব্রিকস-২ ও আল মদিনা ব্রিকস নামের ইটভাটাগুলোর চারপাশে কৃষি জমি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *