বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা, গুলি বিনিময়
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হলেও জিম্মিদের হত্যার শঙ্কায় পরে পিছিয়ে যায় ওই জাহাজটি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এ তথ্য জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে (বুধবার দিনগত রাত) নেভির একটা জাহাজ আমাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। এরা (জলদস্যুরা) আমাদের দেয়নি। ওরা (উদ্ধারে আসা জাহাজ) বাইরে থেকে ফায়ার করেছে। তখন জলদস্যুরা বলছে আমরা (বাংলাদেশি নাবিকরা) হোস্টেজ (জিম্মি) আছে। ওরা (উদ্ধারে আসা জাহাজ) যদি হামলা করে, তাহলে আমাদের মেরে ফেলবে।’
জিম্মি নাবিক বলেন, ‘এরপর ওরা সরে গেছে। ওরা (উদ্ধারে আসা জাহাজ) ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে থেকে আমাদের অনুসরণ করছে। আমাদের ক্যাপ্টেনকে বলছে, ওরা আমাদের ফলো করছে, ২০ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে দূরে থাকছে। যথাসম্ভব ওরা কাছে আসতে পারবে না।’
আজ বাংলাদেশি নাবিকদের অন্য জলদস্যুদের হাতে হস্তান্তর করা হতে পারে জানিয়ে ওই নাবিক বলেন, ‘সোমালিয়ান সময় আজ ১০টা নাগাদ আমরা তীরে পৌঁছে যাবো। তখন অন্য একটি পার্টির কাছে আমাদের হস্তান্তর করা হবে।’
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থান করছে। গারাকাড উপকূলে পৌঁছাতে জাহাজটির আর মাত্র দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।