রাজনীতি

বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না: ওবায়দুল কাদের

এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না। বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এভাবেই বলছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সারাদেশের মানুষ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পর্কে ভেতরের অনেক কথা শোনা যায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন্দ হয় না, তাকে সরকারের এজেন্ট বলে। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে যান কয়দিন আগে। সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কী নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কী যে বর্বরতা! ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে!

বিএনপি নেতাদের লজ্জা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, এক সময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন-অগ্রগতি, এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

তিনি বলেন, আদমজীর মতো জুটমিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। শ্রমিকের ওপর কোনও নির্যাতন নাই।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *