জাতীয়

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে যে কোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া এক অভিভাষণে এমন ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। বিচারকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন ও নওগাঁর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, চার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ও অধস্তন আদালতের বিচারকেরা ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগে দুর্নীতি বন্ধ করতে আমি বদ্ধপরিকর। আজ আমি এই মঞ্চ হতে বিচার বিভাগে যে কোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি পর্যায়ে একজন বিচারকের দুর্নীতি সমগ্র বিচার বিভাগের ওপরেই কালিমা লেপন করে। এমনকি আদালতের একজন সহায়ক কর্মচারী কিংবা আইনজীবী সহকারীও যদি দুর্নীতি করেন, সাধারণ জনগণ সাদা চোখে সেটিকে বিচার বিভাগের অবক্ষয় হিসেবেই গণ্য করে। তাই বিচারাঙ্গন হতে যেকোনো প্রকার দুর্নীতি বিলোপ করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, যদি দুর্নীতি প্রতিরোধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান, তথা জেলা জজ, কিংবা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক ব্যর্থ হন তবে সেটি-কে তার পেশাগত অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া আমাদের উচ্চ আদালত সম্পর্কেও বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম এর অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক সময়েই সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখা, ডেসপাচ শাখা, নকল শাখার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নেতিবাচক খবর আমার কানে আসে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করতে চাই, এ ধরনের কোনো অনিয়ম আর বরদাস্ত করা হবে না। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে উন্নত সেবা প্রদান ও অনিয়ম দূরীকরণে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছি, যার বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান এবং আপিল বিভাগের রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেন্স অফিসার নওরীন আক্তার কাঁকন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *