চট্টগ্রামশিক্ষা

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালন

বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ফার্মেসি বিভাগ এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফার্মা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জাহেদ বিন রহিম এর সভাপতিত্বে ফার্মেসী বিভাগের ফার্মা স্যোসাল রেসপন্সিবিলিটি ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীদের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম শোয়েভ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দিন শাহরিয়ার, ফার্মা ক্লাবের ট্রেজারার ও ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক জুয়েল মল্লিক, ফার্মা সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক সানজিদা ইলিয়াস, ফার্মা সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সহ সভাপতি নাজিউল্লাহ মো. তামিম, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ইমরুজ সিকদার, সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী মুস্তাহির গনি রিসম।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব বলেন, মানুষের মাঝে বিশেষ করে বাংলাদেশিদের মাঝে একটি বিশেষ প্রবণতা হচ্ছে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজস্ব জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে ঔষধ সেবন করা এবং ডাক্তার কর্তৃক পরামর্শকৃত ঔষধ কোর্স সম্পন্ন না করা।

সঠিক মাত্রায় ও নিয়ম অনুসারে ঔষধ সেবন না করার ফলে ভবিষ্যতে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই যেকোনও ঔষধ গ্রহণের পূর্বে আমাদের ডাক্তার অথবা ফার্মাসিষ্ট এর পরামর্শ নেওয়াটা বাঞ্চনীয়।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্সের কারণে, যেখানে বিশ্বের সব দেশই কম বা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্স যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং প্রতিহত না করা যায় তবে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর এক কোটি মানুষ মারা যাবে শুধু কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এর অভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *