জাতীয়

মন্ত্রী ও এমপিরা দিচ্ছেন প্রার্থী, তৃণমূলে বিভেদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক’ করতে এবার দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন জায়গায় দলটির সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতারা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের তৃণমূলে সৃষ্ট বিরোধ আরও বাড়ছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বড় রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ সব সময় কমবেশি থাকে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিরোধ বেড়ে গিয়েছিল। বিএনপি বর্জন করায় ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল দল। তখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগে সংসদীয় আসনভিত্তিক বিরোধ তৈরি হয়েছিল।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপির অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে এ নির্বাচনও হবে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। ঈদের পর প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে। সে সময় কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীনদের এই বিরোধ সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অবশ্য স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ মীমাংসায় উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার রংপুর বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এবার দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদে ভোট হবে চারটি ধাপে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৮ মে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রচার শুরু হবে ২৩ এপ্রিল থেকে। চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল শনিবার আমাদের প্রতিনিধিরা ১৭টি জেলায় খোঁজ নিয়েছেন। এসব জেলায় দুজন মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের আটজন সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে প্রার্থী মনোনয়ন বা সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় প্রকাশ্যে না বললেও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিজেদের অনুসারী প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন। কিছু জায়গায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া আওয়ামী লীগের নেতারাও নিজের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করছেন।

গত মঙ্গলবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ‘দলীয় প্রার্থী’ হিসেবে দুজনের নাম (চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী) ঘোষণা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তাঁরা জনসংযোগও করছেন। এমন অবস্থায় প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের ঘোষণাকে ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেউ কেউ।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিতে স্থানীয়ভাবে গণসংযোগ করছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আল সাইফুল। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী হয়ে নিজের খেয়াল-খুশিমতো কাউকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন না। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহ দেখিয়েছেন টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আখতারুজ্জামান। তিনিও প্রতিমন্ত্রীর প্রার্থী ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ প্রতিমন্ত্রী একজনকে প্রার্থী ঘোষণা দিলেন, এটা হতে পারে না।

এভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান গত বুধবার বলেন, ‘আমাদের দল থেকে তাঁরা প্রার্থী, তাঁরা দাঁড়াতে চান, সেটা বলেছি। দলীয় প্রার্থী তো দেওয়ার সুযোগ নেই।’

দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিন নেতা প্রার্থী হতে চান। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস ছালামকে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ঘোষণা করেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

একক প্রার্থী ঘোষণার পরও চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান। পরে ১৬ মার্চ ধর্মমন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলা ডাকবাংলায় এক বৈঠকের মাধ্যমে তাঁকে বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাকছুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত থাকায় তিনি মাঠে ছিলেন। কিন্তু ধর্মমন্ত্রী একরকম জোর করে তাঁকে বসিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম জামাল আব্দুন নাছেরও এবার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ছিলেন। তিনি বলেন, ধর্মমন্ত্রী একক প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, একজন মন্ত্রী যদি কোনো প্রার্থীকে সরাসরি সমর্থন করেন, তখন স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকে না।

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান মুঠোফোনে বলেন, তিনি একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, এটি সত্য নয়। কাউকে বসিয়েও দেননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ওই প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সভায় ছিলেন।

গত ২৪ জানুয়ারি মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান তাঁর বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানকে মাদারীপুর সদরের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা ও সমর্থন দেন। এর দুই দিন পরে ২৬ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান খানকে (শফিক খাঁ) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাঁরা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী।

পাভেলুর রহমান সংসদ সদস্য শাজাহান খানের চাচাতো ভাই। পাভেলুর ও আসিবুর সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তাঁরা দুই পক্ষের আলাদা প্রার্থী হওয়ায় দলে উত্তেজনা রয়েছে।

শাজাহান খানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেনি। তবে শাজাহান খানের স্থানীয় প্রতিনিধি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শাজাহান খান তাঁর ছেলেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন তফসিল ঘোষণার আগে। তফসিল ঘোষণার পরে তিনি কিছু বলেননি, কোনো প্রচারণায়ও নেই।

তবে পাভেলুর রহমান খান বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে শাজাহান খান নিজ নির্বাচনী এলাকায় থেকে ছেলের পক্ষে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে তৃতীয় ধাপে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগের অন্তত সাত নেতা। গত ৯ মার্চ বিশেষ বর্ধিত সভায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন অন্য নেতারা নির্বাচনের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে ওই সভা ছেড়ে চলে যান। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর-৩ (মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এ ঘটনার পর সেখানে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এখানে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।

মির্জা আজম বলেন, তৃণমূলের ভোটে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যরা ইচ্ছা করলে প্রার্থী হতে পারবেন। কিন্তু তাঁরা দলের সমর্থিত প্রার্থী নন। যেহেতু কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে উন্মুক্ত নির্বাচনের। সে কারণে কেউ প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বীকে (সুইট) দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদরের আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় সম্প্রতি একটি দোয়া মাহফিলে কাজীপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে নেতা–কর্মীদের তাঁর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেন। কক্সবাজার সদরে মাহমুদুল করিমকে সমর্থন জানিয়েছেন হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল।

এ ছাড়া সম্প্রতি তেঁতুলিয়া উপজেলার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া তেঁতুলিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আবদুল লতিফকে সমর্থন দেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরাও পিছিয়ে নেই। ময়মনসিংহ–১–এর সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক ধোবাউড়া উপজেলায় যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। মঠবাড়িয়া উপজেলায় সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ তাঁর ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন। সাভার উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলমকে সমর্থন দিয়েছেন ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রকাশ্যে নয়, কিন্তু..
অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও ভেতরে–ভেতরে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের সমর্থন দিচ্ছেন। যেমন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছোট ভাই সফিকুল ইসলাম এবার প্রার্থী হচ্ছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম তাঁর চাচা সফিকুল ইসলামকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে আলোচনা আছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পরিচিত সোহেল রানা। শিবলী সাদিক ঘোড়াঘাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী শুভ রহমান চৌধুরীকেও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন বলে আলোচনা আছে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার দামুড়হুদা ও জীবননগরে বর্তমান দুই চেয়ারম্যানকেই সমর্থন দিচ্ছেন বলে আলোচনা আছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু কাউকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান তাঁর সমর্থিত বলে পরিচিত।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সমর্থিত এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পরিচিত।

দলীয় সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করুক, তা চায় না আওয়ামী লীগ। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করব। আমার একজন থাকবে, তাঁকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *