মমতাকে ক্ষমা চাইতে বললেন সাধু-সন্ন্যাসীরা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকালে কিছু সাধু-সন্ন্যাসীর সমালোচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মন্তব্যকে কটু ও বিরূপ দাবি করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে এবং পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় এক মিছিলের আয়োজন করেন সাধু-সন্ন্যাসীরা। এতে কয়েক হাজার সাধু-সন্ন্যাসী যোগ দেন। মিছিলের আয়োজক বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের দাবি, তাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাঁরা প্রচারে থাকেন না। তবুও তাঁদের সমালোচনা করা হয়। তাই মমতার উচিত হবে ক্ষমা চাওয়া। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া।
মিছিল শুরু হয় বাগবাজারের স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য সিস্টার নিবেদিতার বাসভবন থেকে। শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দের মানিকতলার বাসভবনে।
মিছিলের নাম দেওয়া হয় ‘স্বাভিমান যাত্রা’। সন্ন্যাসীরা খালি পায়ে এই প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন। শাঁখ বাজিয়ে জপমালা তপে, করতাল ও ডুগডুগি বাজিয়ে মিছিলে পা মেলান তাঁরা।
অন্য অনেকের মধ্যে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বামী কার্তিক মহারাজ। মমতা গত শনিবার এই কার্তিক মহারাজের নাম উল্লেখ করেই সমালোচনা করেছিলেন।
কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ও শিলিগুড়িতে সাধু-সন্ন্যাসীদের প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিবাদ মিছিলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খন্ড ও উত্তর প্রদেশের কিছু সাধু-সন্ন্যাসীও যোগ দেন।
মমতা কী বলেছিলেন
গত শনিবার হুগলির গোঘাটে এক নির্বাচনী জনসভায় মমতা বলেন, ‘সব সাধু সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের এক মহারাজ আছেন, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আছেন। কিন্তু এই লোক বলেন, “তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না।” ফলে তাঁকে আমি সাধু মনে করি না। কারণ, তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করছেন।’
মমতার এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে গত রোববার এবং পরে গত সোমবার আলাদা জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুসমাজ আক্রান্ত। হিন্দুসমাজকে অপমান করা হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘকেও তিনি আক্রমণ করেছেন। তৃণমূলের গুন্ডাদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।