আন্তর্জাতিক

মহাকাশে ফুটে উঠল ‘ঈশ্বরের হাত’!

মহাকাশে দেখা মিলল এক ঈশ্বরের হাতের। ডার্ক এনার্জি ক্যামেরার তোলা একঝাঁক ছবির মধ্যে এই হাতের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা মহাজাগতিক সৌন্দর্যেরই বহিঃপ্রকাশ।

এই ঈশ্বরের হাত আসলে কী? সহজে বললে এটা আসলে জমাট বাঁধা অপার্থিব ধুলা ও মেঘের আস্তরণ। এটিকে গ্লোবিউল ধূমকেতুর অংশ মনে করা হয়। চিলির ভিক্টর এম ব্ল্যাঙ্কো টেলিস্কোপে যুক্ত করে দেওয়া ডার্ক এনার্জি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই ছবি।

১৯৭৬ সালে প্রথমবার এই ‘ধূমকেতু’ আবিষ্কৃত হয়। সেটাও দুর্ঘটনাক্রমে। ব্রিটেনের স্কমিড টেলিস্কোপে নিরীক্ষণ করার সময় আকস্মিক এটির দেখা পান বিজ্ঞানীরা।

প্রকৃত পক্ষে এটা কোনো ধুমকেতু নয়, জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধুলা। এর আকৃতি অনেকটা ধূমকেতুর মতো। রয়েছে হালকা উজ্জ্বল লেজও। এর ভেতরে রয়েছে সদ্যোজাত তারা। কাছাকাছি থাকা নক্ষত্রগুলোর তেজস্ক্রিয়তার ধাক্কায় এগুলোর জন্ম। এরকম অনেক ‘গ্লোবিউল’ই রয়েছে।

কিন্তু এই বিশেষ গ্লোবিউলটি দেখলে মনে হয় যেন এক মহাজাগতিক হাত। কোটি কোটি আলোকবিন্দু মিলে মহাকাশের ক্যানভাস এটিকে নির্মাণ করেছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। তবে নামে ‘ঈশ্বরের হাত’ হলেও এর সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার কোনো যোগসূত্র নেই। কেবল মহাজাগতির সৌন্দর্যের সঙ্গে মিল রেখেই এমন নামকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *