মিয়ানমারের রাখাইনে তীব্র সংঘাত, বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকার বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়।
সীমান্তবর্তী সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে রাখাইনের মংডুতে দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের সংঘাত চলছে। মর্টার শেল, ড্রোন হামলা এবং আর্টিলারি গোলাবারুদ ব্যবহার করে দুই পক্ষই একে অপরের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংঘাতের কারণে আকাশে ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে, যা টেকনাফ সীমান্ত থেকেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে মংডু টাউনশিপসহ কয়েকটি এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি চৌকি দখল করে নিয়েছে। তারা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলো দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংঘাতের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এবং অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্তে এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড বাহিনী সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে এবং নাফ নদীতে টহল জোরদার করেছে। বিজিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত এবং বাংলাদেশ সীমান্তে কোনোভাবে সন্ত্রাসী কিংবা বিদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া হবে না।
টেকনাফের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মংডুতে চলমান সংঘাতের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মর্টার শেলের বিস্ফোরণে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে লোকজন আতঙ্কে আশ্রয় খুঁজছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্ত দিয়ে কাউকে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অনুপ্রবেশের সময় বেশি কিছু রোহিঙ্গাকে নাফ নদী থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।