দেশজুড়ে

মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, প্লাবিত ৭০ গ্রাম

টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আগের ভাঙন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে তৃতীয় দফায় পরশুরাম উপজেলায় ৪০টি গ্রাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পরশুরাম পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম ও ফুলগাজী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামসহ মোট ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর পানি পরশুরাম ও ফুলগাজী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১ জুলাই প্রথম দফা ও ২ আগস্ট দ্বিতীয় দফা মুহুরী-কুহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়। বর্ষা অব্যাহত থাকায় আগের ভাঙন স্থানগুলো মেরামত না হওয়ার ফলে গত দুই-তিন দিনের অতিবৃষ্টিতেই উপরোক্ত গ্রামসমূহ প্লাবিত হয়।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, তৃতীয় দফা বন্যায় পরশুরাম পৌরসভার বাউরখুমা, বাউরপাথর, দুবলাচাদ, বিলোনিয়া, অনন্তপুর, বেড়াবাড়িয়া, কোলাপাড়া এবং মির্জানগর ইউনিয়নের মির্জানগর, কালী কৃষ্ণনগর, কাশিনগর, ছয়ঘরিয়া, দক্ষিণ কাউতলী, চম্পক নগর, পূর্ব সাহেব নগর, জঙ্গলঘোনা ও গদানগর গ্রাম, চিথলিয়া ইউনিয়নের চন্দনা, পালপাড়া, দক্ষিণ শালধর, উত্তর শালধর, কিসমত শালধর, মালীপাথর, পাগলীরকুল, কুন্ডেরপাড়, রাজষপুর, জংঙ্গলঘোনা, পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর, ধনীকুন্ডা, চিথলিয়া, রামপুর, দুর্গাপুর গ্রাম, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া, চারিগ্রাম, টেটেশ্বর, বাঘমারা, জমিয়ার গাঁও, কহুয়া, তালবাড়ীয়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে উক্ত গ্রামসমূহের প্রায় ৯ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ফুলগাজী ইউনিয়নের নিলক্ষী, গাবতলা, মনতলা, গোসাইপুর, শ্রীপুর, বাসুরা, দেড়পারা, উত্তর দৌলতপুর, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বদরপুর, মান্দারপুর, করইয়া, কালিকাপুর, কামাল্লা, পৈথারা, জাম্মুরা, ফকিরের খিল, কমুয়া, বালুয়া, নোয়াপুর, চানপুর, দক্ষিণ তাড়ালিয়া, দক্ষিণ শ্রীপুর, কুতুবপুর এবং আমজাদহাট ইউনিয়নের তালবারিয়া, উত্তরধর্মপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর, মনিপুর, ইসলামিয়া বাজার, বসন্তপুর, তারাকুচাসহ মোট ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে এ উপজেলায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরশুরাম উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল এবং ফুলগাজী উপজেলায় ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৮ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *