রোহিঙ্গাদের ৭ বছরেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তা রক্ষা করেনি। রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশে পরিবেশগত সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা, ইয়াবা ও মাদক পাচারের মতো নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী দলে ভেড়ানো হচ্ছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমার আমাদের কথা দিয়েছিলো তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু ৭ বছর চলে গেলেও তারা তাদের কথা রাখেনি। উপরন্তু এখন মিয়ানমার-আরাকান কনফ্লিক্ট আমাদের উপর ভর করেছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশগত সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা, ইয়াবা ও মাদক পাচারের মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী দলে ভেড়ানো হচ্ছে। এসব কারণে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসহ সকলেই সমস্যায় আছে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মায়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা চলছে যেন মায়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে দ্রুত ফেরত নেওয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন করে পালিয়ে আসা ১৩৮ জন রোহিঙ্গার মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং দুইজন মেজর রয়েছে। তাদের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে পালিয়ে আসা ৫ শতাধিকের বেশি মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠিয়েছি। এদেরকেও ফেরত পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভা উপলক্ষে কক্সবাজারে অবস্থান করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য। বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবেন মাহবুব এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।