চট্টগ্রাম

লাউ-কুমড়া ছাড়া ৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির। ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির পর দাম কমার কথা বললেও দেশে ফের শুরু হয়েছে দাবদাহ। এতে মাঠে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বাড়তি দরেই সবজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আর তাতে ৫০ টাকার কমে কাঁচা বাজারে লাউ মিষ্টি কুমড়া ছাড়া মিলছে না কোনো সবজি। এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে ২০-২৫ টাকা। তবে বাড়তিই থেকে গেছে মাছ-মাংসের দাম।

গতকাল নগরীর অক্সিজেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার দরের এই চিত্র।

অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকালেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটোর। এরমধ্যে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ১২০-১৪০, শসার দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ এবং ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, আলু ৬০, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫০, বেগুন ৮০, ঝিঙে ৭০, বরবটি, গাজর ও পেঁপে ৮০, পটল ৬০, করলা ৬০, কাকরল ১০০ এবং ফুলকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সবজির বাড়তি দরের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাবদাহে সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। আবার কাঁচা মরিচ ও শসার মতো কিছু সবজির জোগান একেবারে কমে যাচ্ছে, তাই বাড়ছে দাম।

এই বিষয়ে রিয়াজউদ্দিনবাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, গরমে গাছসহ সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আবার স্থানীয় সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমস্যা হচ্ছে। এতদিন চকোরিয়ার কাঁচামরিচ আসতো, এখন আর আসছে না। ওইরকম অনেক সবজি উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে। তাই খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে আকার ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০, সয়াবিন তেল ১৫০, পাম তেল ১৩৪, ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০, চিনি ১৩৫ এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গতকাল।

এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম ২০-২৫ টাকা কমেছে কেজিতে। নগরে ২৫ টাকা কমে ২০৫ এবং ২০ টাকা কমে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। এর বাইরে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯০০ এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আকার ভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, আকার ভেদে পাঙ্গাস ১৮০-২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ২৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, সুরমা ৩৫০ থেকে ৬৫০, টেংরা ৩৭০ এবং নারকেলি মাছ ২৫০, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *