পার্বত্য চট্টগ্রাম

লামা বাজারে আকস্মিক আগুনে ছাই ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

বান্দরবানের লামা বাজারে আকস্মিক আগুনে ছয়টি দোকান, বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই ও তিনটি দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আগুনে দোকান ও বসতঘর পুড়ে প্রাথমিক হিসেব মতে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল কান্তি নাথ। সেই সঙ্গে পুড়ে আট ব্যবসায়ীর স্বপ্ন ছাই হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লামা বাজারের পশ্চিম পাশে নদীরঘাট এলাকায় চারুবালা হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

লামা বাজারে আগুনের ঘটনায় মহিউদ্দিন নামে এক লোক আহত হয়েছেন। তার বাড়ি লামা পৌরসভার রাজবাড়ি এলাকায়। তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কহিনুর বোডিংয়ের মালিক মো. বশিরের শ্বশুর।

আগুনে পুড়ে নিঃশেষ হওয়া চারুবালা হোটেলের মালিক চারুবালা দাশ বলেন, মুহূর্তেই আগুনে আমার স্বপ্ন ছাই হয়ে গেছে। দোকান ও বাড়ির কোন মালামাল কিছুই বের করতে পারিনি।

ভুক্তভোগী বিসমিল্লাহ ভাতঘরের মালিক মহিউদ্দিন জানান, আমরা সবাই ইফতার করছিলাম। চারুবালা হোটেল থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের ধোয়া দেখে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিই।

১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে ব্যবসায়ী, সাধারণ জনতা, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্ট অংশ নেয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে চারুবালা হোটেল, মহিউদ্দিন বিসমিল্লাহ ভাতঘর, বাবুল সেনের মুদি দোকান, নয়ন সেনের বসতবাড়ি, সান্টুর রেস্টুরেন্ট এবং কহিনুর বোডিংয়ের পিছনের অংশ। আংশিক পুড়ে ও ক্ষতি হয়েছে রতনের লন্ড্রি দোকান, এনাম মোবাইল সপ ও তেজারত স্টোর।

লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি বিপুল কান্তি নাথ বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট বা চুলার আগুনে সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের তিনটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত এখনো নির্ণয় করা যায়নি।

এদিকে আগুন লাগার সাথে সাথে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *