লোহাগাড়ায় শিশু অপহরণ, রোহিঙ্গা যুবক গ্রেপ্তার
ট্রেন দেখানোর কথা বলে মালিকের ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা কর্মচারী। অপহরণের তিনদিন পর ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে অপহরণকারীও।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অপহরণের শিকার ৭ বছরের ওই শিশুর বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। শিশুটির বাবার মুরগির ফার্মে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো রোহিঙ্গা যুবক মুহাম্মদ নুর। গত ৮ ডিসেম্বর মুরগির ফার্ম থেকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তি পণ দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দেন। তবে পুরো টাকা না পাওয়ায় শিশুটিকে ছাড়েনি অপহরণকারী রোহিঙ্গা যুবক।
৪০ ঘণ্টা অভিযানের পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে পুলিশ সুপার মাহফুজুল হক বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এতে কাজ করে একাধিক টিম। এক পর্যায়ে কক্সবাজারের হোটেল প্রিন্স রিসোর্ট থেকে শিশু মিনহাজকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় অপহরণকারী মুহাম্মদ নুরকে।
অপহৃত শিশু মিনহাজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বাগান পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের ছেলে। আর গ্রেপ্তার মোহাম্মদ নুর উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ এর বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে।
‘গ্রেপ্তার নুরের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কোন চক্র রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ‘—যোগ করেন জেলা পুলিশ সুপার।