চট্টগ্রাম

শান্ত চান্দগাঁও ভোটের দিন কেন উত্তপ্ত, কারণ খুঁজছে পুলিশ

ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে একটি পক্ষের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। অনেকেই পুলিশ কর্মকর্তাদের বারবার ফোন করে অন্য এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিল।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও সেগুলো ছিল ক্ষণস্থায়ী। গত কয়েক বছর ধরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে তেমন বড় কোনো সংঘাতও হয়নি। কিন্তু গত রোববার মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় দিনভর পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি কর্মীরা।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে।

তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, ভোট প্রতিহত করতে সহিংস ঘটনা ঘটানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। তৃতীয় কোন পক্ষের ‘ইন্ধনে’ এ ঘটনা ঘটেছে। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তাদের মধ্যেকার বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।  বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ তাদের।

নৌকার কোনো প্রার্থী না থাকলেও আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ‘কেটলি’ এবং নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী ‘ফুলকপি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এই আসনে এবার ১০ জন প্রার্থী থাকলে ৭ জানুয়ারির ভোটে মূলত লড়াই হয় এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই, যেখানে আবদুচ ছালাম ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *