চট্টগ্রামরাজনীতি

স্বাধীনতা লাভের দ্বারপ্রান্তে তৈরি হয় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগীতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা তৈরি করে। তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫০০ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নগরের সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল। এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণি ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তানীদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সেদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং মেধাশূন্য একটি দেশ যেখানে বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভঙ্গুর প্রায় অর্থনীতি হওয়া সত্তে¡ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি বিষ্ময়ের নাম। এখন পাকিস্তানীরা তাদের সরকারের কাছে দাবি করে পাকিস্তানকে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতির মতন শক্তিশালী করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতার ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশ বিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান বক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *