খেলা

হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন ভারতের, যে যোগ্যতা লাগবে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের জন্য নতুন কোচ নিয়োগ নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দেশটির বোর্ড। নতুন কোচের সঙ্গে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।

চলতি বছরের জুনে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি, নতুন করে আর দায়িত্ব নিতে রাজি নন দ্রাবিড়। সে ক্ষেত্রে নতুন কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন। নতুন কোচের জন্য বিসিসিআই কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় কোচ হতে কী কী যোগ্যতা লাগবে।

কমপক্ষে ৩০টি টেস্ট অথবা ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অন্তত দু’বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আইসিসির অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশের জাতীয় দল, আইপিএল বা সম মানের বিদেশি কোনো লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দল বা কোনও দেশের ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে কাজ করলেও আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে অন্তত তিন বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের লেভেল ৩ অথবা সমতুল কোচিং ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। বয়স হতে হবে ৬০ বছরের কম।

ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের জন্য মুম্বাইয়ে থেকে কাজ করতে হবে। ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৭ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে হবে। সহকারী হিসেবে পাওয়া যাবে ১৪ থেকে ১৬ জনকে।

ভারতীয় দলের প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে। দলকে প্রস্তুত করার দায় তাঁরই। এ ছাড়া ভারতীয় দলকে বিশ্বমানের করে তুলতে হবে। দল যাতে যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে, যে কোনো জায়গায় এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে সফল হতে পারে। সিনিয়র এবং তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিন ধরনের ক্রিকেটেই ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের সব দায় প্রধান কোচের। সহকারী কোচ এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফদের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। তাদের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর রাখতে হবে। দলের সব ধরনের শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্বও নিতে হবে প্রধান কোচকে।

বিশ্বের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার চাপ সামলাতে হবে। তাদের খেলার মানের সঙ্গে মানানসইভাবে কাজ করতে হবে। সমর্থক, সম্প্রচারকারী সংস্থা, সংবাদমাধ্যম, অন্য জাতীয় দল (নারী বা অনূর্ধ্ব ১৯), বিসিসিআইয়ের সব কর্মকর্তা, বিসিসিআইয়ের সিইও এবং জাতীয় নির্বাচক কমিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে।

দল এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। এবং সর্বশেষ, ভারতীয় দলের প্রধান কোচকে কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। দলকে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের মধ্যে জয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলে শীর্ষে পৌঁছে দিতে হবে। দলের সকলকে দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে প্রধান কোচকে। পেশাদারভাবে দলকে পরিচালনা করতে হবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। সকলের উন্নতির ব্যাপারে যত্নশীল থাকতে হবে। ক্রিকেটারদের প্রতিভা, দক্ষতার সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। দলকে সব সময় আত্মবিশ্বাসী রাখতে হবে। দলের জন্য স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সব ধরনের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা তৈরির দক্ষতা থাকতে হবে।

বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *