চট্টগ্রাম

২বারই ভুয়া ঠিকানা দেন মাদক মামলার আসামি

চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে কারাগারে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার এক আসামি। পরে আসল পরিচয় বেরিয়ে এলে দেখা যায়, ২৩ দিনের ব্যবধানে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুবারই এই কাজ করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামিনে বেরিয়ে গেলে কিংবা সাজা হয়ে গেলে যাতে আর ধরা না পড়েন, সে মামলার জন্য আসামি এই কৌশল নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারে নতুন বন্দী এলে তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হতে হয়। সেটা করেই ওই আসামির সঠিক পরিচয় উঠে আসে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ওই আসামির প্রকৃত নাম কুলসুমা খাতুন। কক্সবাজার জেলার টেকনাফের মৃত আবদুল জলিলের মেয়ে তিনি। গ্রেপ্তারের পর দুটি মামলায় ভুয়া ঠিকানা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ গত ১৪ নভেম্বর আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ কারাগার থেকে পাঠানো চিঠি দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠানোর আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, আসামি মাদকের দুটি মামলায় ভিন্ন দুটি নাম-ঠিকানা দিয়ে কারাগারে আসেন। আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর দেখা যায়, দুটি ঠিকানাই ভুয়া। আসামির প্রকৃত নাম কুলসুমা খাতুন। কিন্তু তিনি একবার ‘মুন্নী বেগম’ ও আরেকবার ‘রুবি আক্তার’ পরিচয়ে কারাগারে আসেন। বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, নগরের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় গত ২১ আগস্ট ১ হাজার ১০০ ইয়াবা বড়িসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আসামি নিজেকে টেকনাফের মৃত কালা মিয়ার মেয়ে মুন্নী বেগম পরিচয় দেন। কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মুন্নী পরিচয়ে (প্রকৃত নাম কুলসুমা খাতুন) ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে এই মামলায় গত ১৩ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *