২১ বছরেও শেষ হয়নি আ.লীগ নেতা হত্যার বিচার
২১ বছরেও সম্পন্ন হয়নি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আলোচিত ডাবল মার্ডারের শিকার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের বিচার।
২০০৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পবিত্র ঈদ উল আজহার দিন রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম মাদ্রাসার সভা চলাকালে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকী ও মাদ্রাসার সেক্রেটারি সোলায়মান খাঁনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেসময় চট্টগ্রাম অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ডাকে পালিত হয় সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।
শহীদ ফারুকের কবর জেয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে চট্টগ্রামের সকল জ্যেষ্ঠ্য নেতাদের পাশাপাশি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামে ছুটে আসেন।
হত্যাকাণ্ডের পর শহীদ ফারুক সিদ্দিকীর বৃদ্ধ মা সায়রা খাতুন বাদী হয়ে কুখ্যাত শিবির ক্যাডার গিয়াস হাজারিকা, গিট্টু নাসির, হাবিব খান সহ শিবির ক্যাডারদের আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করলেও রাজনৈতিক চাপে মামলার কার্যক্রম গতিহীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলা ডিবিতে স্থানান্তরের পর কয়েকজন আইও পরিবর্তনের পর অবশেষে আদালতে মামলার চার্জশীট প্রদান করেন। পরবর্তীতে প্রধান অভিযুক্ত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী গিয়াস হাজারিকাসহ চার্জশীটভূক্ত কয়েকজন র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
বিচারের আশায় আশায় মামলার বাদী শহীদ ফারুকের মা মারা যান চার বছরের মাথায়। চট্টগ্রামের এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের একুশ বছর পূর্ণ হলেও বিচার সম্পন্ন হয়নি আজও।
শহীদ ফারুক সিদ্দিকী’র সন্তান জোনায়েদ জাফর সিদ্দিকী (চিশতী) বলেন, বাবার মৃত্যুর ২১তম বার্ষিকী মানে আমার একুশ বছর। প্রতিবছর বাবার একেকটা মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর বিষাদে ছুঁয়ে আমার একেকটা জন্মদিন আসে। জন্মের মাত্র ১১ দিনের মথায় বাবাকে হারিয়েছি ঘাতকদের নির্মম বুলেটে। মমতাময়ী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একমাসের মধ্যে আমার মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও আমাদের ভাগ্যে জুটেনি কোনো রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সহযোগিতা। তাতে কোনো আক্ষেপ নেই আমাদের।