৩৫ ঘণ্টায় ৬০ হাজার টন ডিজেল খালাস
পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন ও খালাসের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ায় গভীর সাগর থেকে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বা বয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসেছে ৬০ হাজার টন ডিজেল। মহেশখালী থেকে পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) এই ডিজেল আনতে সময় লেগেছ মাত্র ১৭ ঘণ্টা।
এর মধ্য দিয়ে সার্থকতা পেয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটির কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইপলাইনে তেল খালাসে পাওয়া যাবে তিনটি বড় সুবিধা। প্রথমটি হচ্ছে, সময় সাশ্রয়ী, দ্বিতীয়টি পরিবহন খরচ ও অপচয় কম এবং তৃতীয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে তেল খালাস নিরবচ্ছিন্ন থাকা।
বঙ্গোপসাগরে মহেশখালীর এসপিএম থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পর্যন্ত স্থাপিত হয়েছে ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন। পাইপলাইনের ১৬ কিমি উপকূলে ও ৯৪ কিমি সাগরের তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), বাংলাদেশ সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংক।
এসপিএম থেকে পূর্ব দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ট্যাঙ্ক টার্মিনাল পর্যন্ত উপকূলে ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। গত বছরের ২৬ জুন মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়।