অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে তৎপর চট্টগ্রাম কাস্টমস
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানাখাতের পাশাপাশি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতেও। সর্বত্রই চলছে সংস্কারমূলক কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিরোধে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রধান এই রাজস্ব আদায়কারী শুল্ক স্টেশনের সিএন্ডএফ এজেন্টরাও চান দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত কাস্টমস। এজন্য ইতোমধ্যে সদস্যদের ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে কাস্টমসের কারও সঙ্গে অবৈধ লেনদেন না করার বিষয়েও সতর্ক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন।
গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কাস্টমসের এক কর্মকর্তাকে অনিয়মের দায়ে হাতেনাতে ধরেন গোয়েন্দারা। এরপর অনিয়মের দায়ে সেই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর ওইদিনই সদস্যদের সতর্ক করে ক্ষুদেবার্তা পাঠায় সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, না চাওয়ার পরও এতদিন আমাদের অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত করা হয়েছে। এখন যেহেতু নতুন সরকার নতুনভাবে চিন্তা করছে, আমরাও সুবাতাস দেখছি। তাই এই সময়ে আমরাও এসব থেকে বের হয়ে আসতে চাই।
পরিবর্তনের হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইতোমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ছাড় না দেয়ার কথাও জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাস্টমস হাউসের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। কেউ অনৈতিক কাজ করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমসে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা দুই পক্ষেরই অনিয়মের প্রবণতা রয়েছে। সেই সঙ্গে দিনে কমবেশি ২ কোটি টাকার স্পিড মানি লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কাস্টমসকে কতটা দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, যদি অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে পারি তাহলে আমরা হয়তো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করতে পারবো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমাদেরকে আমদানি কারকদের কাছে প্রাপ্য যেটা ঠিক করে দিয়েছে আমরা এসব কারণে ওইটার থেকেও বঞ্চিত।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২০টি শুল্কায়ন শাখা রয়েছে। সবমিলে কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় সাড়ে ৭শ। প্রতিষ্ঠানটির মূল সেবাগ্রহীতা সিএন্ডএফ এজেন্ট ও তাদের কর্মচারীরা। সঙ্গে আমদানিকারক আর শিপিং এজেন্টসহ দিনে যেখানে প্রায় দেড় হাজার লোকের আনাগোনা থাকে।