জাতীয়

অবরোধের মধ্যেও গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে

অবরোধের মধ্যেই গাবতলী থেকে সব রুটের গাড়ি ছেড়ে যাওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকে গাবতলীর বাস টার্মিনাল মুখর হয়ে উঠেছে। খুলেছে কাউন্টার। কলারম্যানদের হাঁক-ডাক চিৎকার বেড়েছে। তবে যাত্রী কম, গাড়ির সংখ্যাও কম।

দেশের উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চল মুখী একজন যাত্রী টার্মিনালে এলেই একাধিক বাসের কলারম্যানরা ঘিরে ধরছে। এ চিত্র গাবতলীর জন্য পুরাতন হলেও, অবরোধ-হরতালে মধ্যে এমন প্রাণচাঞ্চল্যে ভাটা পড়েছিল। অবরোধ যত প্রলম্বিত হচ্ছে, অবরোধের মধ্যেই দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাওয়ার মাত্রাও বাড়ছে। বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যাও। যাত্রী সংখ্যা বাড়ায় টার্মিনাল কেন্দ্রিক হোটেল, মুদিদোকান, চায়ের দোকানগুলোও খুলেছে। হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মো. শামীম জানান, অবরোধে অন্যদিন কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। আমাদের গাড়ি আজকে যাচ্ছে। যাত্রী বাড়ছে। যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে।

সকাল ৮টায় মাগুরামুখী একটি বাস ছেড়ে গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় আরো একটি গাড়ি ছেড়ে যাবে। অন্যদিন সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ৫টি ছেড়ে যায়, আজকে যাবে ৩টি। বিকেল-রাতেও গাড়ি চলবে।

রাজনৈতিক কর্মসূচি অবরোধের মধ্যে ঢাকা ছাড়ার ব্যাপারে তার কোন অনিশ্চয়তা কাজ করছে না বলে জানালেন সি ঊন। তিনি জানালেন, খবর নিয়েই এসেছি, পথে কোন সমস্যা হবে না। সাধারণ কর্ম দিবস, আর রাজনৈতিক অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য মনে হচ্ছে না।

যাত্রী কম হওয়ার কারণে বাড়া দ্বিগুন নেওয়ার অভিযোগ করে খুলনার যাত্রী মো. হাসান। তিনি বলেন, স্বাভাবিক ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও এখন চায় ৮০০ টাকা। হাসান কয়েকটি কাউন্টার দেখে তারপর গাড়ির টিকেট কিনত চায়।

শ্যামলী ও হানিফ পরিবহন উত্তরাঞ্চলের সব জেলা, পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর এবং দক্ষিণ অঞ্চলের যশোরে মুখী গাড়ি গুলো ছেড়ে যাচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়ির সংখ্যা কম হলেও ঢাকা থেকে সাভার, নবীনগর মানিকগঞ্জ মুখী গাড়ির চলাচল স্বাভাবিক।

রাজধানীর ভেতরেও যান চলাচল স্বাভাবিক। মিরপুর থেকে সব রুটের গাড়ি ছেড়েছে। মিরপুর-১০ গোলচক্কর, মিরপুর-১ গোল চক্কর, টেকনিকালে মোড় ও কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জটলার সেই পুরানো চিত্র। চলছে যাত্রী টানার প্রতিযোগিতা। বেলা বাড়ার সাঙ্গে সাঙ্গে অফিস মুখে মানুষের ভীড় বাড়ছে, বাড়ছে প্রাণচাঞ্চল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *