চট্টগ্রামরাজনীতি

আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একমাত্র ঠিকানা: মোতালেব

চট্রগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মোতালেব বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস উপমহাদেশের এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক বিবর্তনের ইতিহাস। এক বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতায় সংগ্রামী উত্তরণের ইতিহাস।

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং এখনও উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রাম করে গেছেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বিরামহীনভাবে উন্নয়নের জন্যে কাজ করে চলেছেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং শেখ হাসিনা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিতে সফল হয়েছেন এবং শেখ হাসিনা আমাদের সমৃদ্ধি দিয়েছেন।

রোববার (২৩ জুন) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনগণের জন্যে নিবেদিত একটি রাজনৈতিক দল। উদার গণতন্ত্র, প্রগতিবাদ এবং অসাম্প্রদায়িকতার মন্ত্রে দীক্ষিত দলটি জনগণের এক শক্তিশালী আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ। বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের এক বিকল্পহীন নির্ভরতার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দীন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখেন মাষ্টার ফরিদুল আলম, অধ্যাপক ডাঃ আ ম ম মিনহাজুর রহমান, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, এম হোসেন কবির, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম শিকদার, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর গফুর লালু, এনামুল হক, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নুরুল আবচার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সালাহউদ্দীন শাহরিয়ার, চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দীন, চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন টিপু, আবুল কালাম আজাদ ডালু, নুর হোসেন, সাইফুল ইসলাম সুমন, নবাব মিয়া রকিব, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *