আজও উৎপাদন বন্ধ ৫৫টি কারখানায়
সাভারের আশুলিয়ায় চলমান অস্থিরতায় আজও ৫৫টি পোশাক কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার জামগড়া, কাটগড়া, জিরাবো, ইউনিকসহ বিভিন্ন কারখানার গেটে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।
এসময় কারখানাগুলোর সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, মজুরি ও ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু কারখানায় গত রোববার থেকে শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গতকালও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত অর্ধশত কারখানা বন্ধসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজও এই এলাকার হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, এনভয়, নাসা গ্রুপ, স্টারলিংসহ ৪৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কিছু কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি পালন করলে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
১৩(১) ধারায় বন্ধ হওয়া এক কারখানার শ্রমিক বলেন, গতকাল বেশ কয়েকটি দাবিতে আমাদের সাঙ্গু সোয়েটার কারখানায় আন্দোলন করে শ্রমিকরা। গতকাল রাত পর্যন্ত আন্দোলন হলে মালিকপক্ষ সমস্ত দাবি মেনে নিয়ে দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের আশ্বাস দেয়। শ্রমিকরা খুশি হয়ে বাসায় চলে যায়। আজ সকালে কারখানার সামনে গিয়ে দেখি ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধের নোটিশ। কাল হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে এসব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের মুখে উৎপাদন বন্ধ কারখানার সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি পোশাক কারখানা। মোট উৎপাদন বন্ধ কারখানার মধ্যে শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় ৪৬ টি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ বন্ধ ঘোষণা করছে কর্তৃপক্ষ। বাকি নয়টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ কারখানার সংখ্যা গতকাল ছিল ৫২ টি।
তিনি আরও বলেন, ডিইপিজেডসহ বাকি সব কারখানাতে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। এই অঞ্চলের ম্যাক্সিমাম ফ্যাক্টরি কিন্তু খোলা। এখানে আমাদের ৭৭৫ টি তৈরি পোশাক কারখানা আছে। তার মধ্যে ৫৫ টি বন্ধ আছে। কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।